ভারতের উত্তরপ্রদেশের রামপুরে ঘটেছে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। যা চমকে দিয়েছে সকলকে। রামপুর নামক ওই এলাকার এক কিশোরী চারজন তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। আর তার কারণে এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটাল গ্রামের পঞ্চায়েত।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই কিশোরী চারজন তরুণের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়! ওই চার তরুণের মধ্যে একজনের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠে তারা। এরপর সেখানেই লুকিয়ে থাকে পাঁচজন। এদিকে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে চায় কিশোরীর বাবা। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে থানায় যেতে দেওয়া হয়নি ওই ব্যক্তিকে। এরপর শুরু হয় পাঁচজনের খোঁজ। পরে জানা যায় কোথায় আছে তারা।
নিউজ এইটিনের খবরে বলা হয়, জোর করে তাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই চার তরুণকে আলাদা-আলাদা করে প্রশ্ন করা হয়- কে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে! চারজন তরুণই বিয়েতে নারাজ হয়। কিশোরীকে প্রশ্ন করা হলেও সে কাউকেই বিয়ে করতে চায় না। তারা জানায়, যে শুধু মাত্র ভালো বন্ধু তারা। কেউ প্রেম করছে না। কিন্তু সে সব কথা পঞ্চায়েত শোনেনি। ঠিক করা হয় লটারি খেলা হবে। লাকি ড্রতে যে তরুণের নাম উঠবে, তার সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে কিশোরীর। সেই মতো চারজনের নাম লিখে একটি পাত্রে রাখা হয়। গ্রামের একটি বাচ্চাকে সেই পাত্র থেকে একটি কাগজ তুলতে বলা হয়। যে নামটি ওঠে, তার সঙ্গেই মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হবে ঠিক করা হয়।
তবে এই সব বিষয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে ওই কিশোরী। কিন্তু যেহেতু চারজন তরুণের সঙ্গে গিয়েছিল, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তাই এটাই তাকে শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের রায় মেনে নিয়েছে কিশোরীর পরিবার। তাদের কথায় চারজনের সঙ্গে তো বিয়ে দেওয়া যাবে না, তাই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সকলে।
সূত্র : নিউজ এইটিন