Categories
International

অ্যান্টার্কটিকায় নিউইয়র্কের চেয়ে বড় হিমশৈলে ভাঙন

অ্যান্টার্কটিকায় নিউইয়র্কের চেয়ে বড় হিমশৈলে ভাঙন

অ্যান্টার্কটিকায় একটি ব্রিটিশ গবেষণা স্টেশনের কাছে বিশাল আয়তনের এক হিমশৈল ভেঙে গেছে। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (ব্যাস) নামক এই গবেষণারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হিমশৈলটির আকৃতি ১ হাজার ২৭০ বর্গ কিলোমিটার যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের চেয়েও বড়। ১৫০ মিটার পুরু ব্রান্ট আইস শেলফ নামক একটি আইস শেলফ থেকে এটি ভেঙে যায়। এই আইস শেলফে গত প্রায় এক যুগ আগে বড় বড় ফাটল দেখা গিয়েছিল।

হিমশৈলটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আগে এর গায়ে কয়েক শ মিটার দীর্ঘ ফাটল দেখা দেয়। ব্রিটেনের হ্যালি ৬ গবেষণা স্টেশন আইস শেলফটির অবস্থা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করছে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের পরিচালক জেইন ফ্রান্সিস বলেন, ‘ব্রান্ট আইস শেলফে একটি হিমশৈলের বরফ ভাঙনের জন্য ব্যাসে আমাদের টিমগুলো কয়েক বছর ধরে প্রস্তুত ছিল।’

বরফ ভাঙতে থাকার কারণে হুমকি তৈরি হওয়ায় এই ভাসমান গবেষনাগারটি ২০১৬-১৭ সালে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সর্বশেষ হিমশৈল ভাঙনের ঘটনাটি গবেষণারের জন্য হুমকি তৈরি করবে না বলে জানান ব্যাসের বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (ব্যাস) অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় গবেষণাগার।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অ্যান্টার্কটিকায় হিমশৈল ভেঙে সাগরে পতিত হওয়ার ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে।

তবে সাম্প্রতিক হিমশৈল ভাঙনের ঘটনা সম্পর্কে ব্যাস বলছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এ ঘটনার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

জেইন ফ্রান্সিস বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে হিমশৈলটা হয়তো দূরে সরে যাবে। অথবা এটি জলে আটকে গিয়ে ব্রান্ট আইস শেলফের কাছাকাছিই অবস্থান করবে।’

সূত্র: এএফপি

 

Categories
International

ভারতের সেরা শহর বেঙ্গালুরু

ভারতের সেরা শহর বেঙ্গালুরু

এ যেন শহরে শহরে লড়াই। কোন শহর সবথেকে বাসযোগ্য? এ নিয়েই যেন প্রতিযোগিতার আসর। ভারতে সহজ জীবনযাত্রার তালিকায় এবার বাসযোগ্যতার দিক দিয়ে সেরা শহর হয়েছে বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুনে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেদাবাদ।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানাচ্ছে, ১০ লাখের কম জনসংখ্যার শহরের তালিকাও প্রকাশ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়কমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

এই তালিকায় এক নম্বর জায়গা অর্জন করেছে সিমলা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভুবনেশ্বর, তৃতীয় সিলভাসা। এরপরই এই তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া, সালেম, ভেলোর, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, দাভানগেরে, তিরুচিরাপল্লি।

এ ১০ লাখের জনসংখ্যার কম এই শহরগুলোতে সেরা পৌরসভার তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে নয়াদিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল। এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে তিরুপতি, গান্ধীনগর, কারনাল, সালেম, তিরুপ্পুর, বিলাসপুর, উদয়পুর, ঝাঁসি, তিরুনেলভেলি।

এমএইচআর/এমএস

Categories
International

গরুর পেটে ৭১ কেজি প্লাস্টিক-জঞ্জাল

গরুর পেটে ৭১ কেজি প্লাস্টিক-জঞ্জাল

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে গর্ভবতী এক গরুর পেটে ৭১ কেজি প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। পশুচিকিৎসকরা এসব প্লাস্টিক বের করে আনলেও গরু ও তার বাচ্চাকে বাঁচাতে পারেননি।

হরিয়ানার ফরিদাবাদে গত ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় গরুটি। সেটিকে উদ্ধার করে পশুদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা। এরপর গরুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ওই সংস্থার সদস্যরা। অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২১ ফেব্রুয়ারি গরুটির অস্ত্রোপচার করতেই চমকে ওঠেন চিকিৎসক। প্রায় চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে গরুর পেট থেকে ৭১ কেজি প্লাস্টিক, পেরেক, কাঁচের টুকরা ও জঞ্জাল বের করা হয়। বাচ্চাটাকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে অনেক জায়গায়। তারপরও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার কমেনি। যার ফলে সামুদ্রিকজীব থেকে রাস্তার পশুরাও এর শিকার হচ্ছে। প্রাণহানি ঘটছে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশবিদ এবং পশুবিদরাও।

প্লাস্টিক খেয়ে ভারতে প্রতিবছর কত গরু মারা যায়, তার সরকারি হিসাব না থাকলেও এক পশুকল্যাণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শুধু উত্তর প্রদেশের লখনউতেই এক হাজার গরুর মৃত্যু হয় প্লাস্টিক খেয়ে।

সারা ভারতে যখন গো রক্ষা নিয়ে আওয়াজ তুলছে গেরুয়া শিবির এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো, গরুদের সুরক্ষা নিয়ে যখন মোদি সরকার বিভিন্ন প্রকল্প করছে, প্লাস্টিকের কারণে গরু মৃত্যুর ঘটনায় সুরক্ষাবিধি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার

Categories
International

ভারতে স্বর্ণের দাম কমল প্রায় ১০ হাজার

ভারতে স্বর্ণের দাম কমল প্রায় ১০ হাজার

ভারতের বাজারে হু হু করে কমছে স্বর্ণের দাম। ২০২০ সালের আগস্টে দেশটিতে প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম উঠেছিল ৫৬ হাজার রুপি পর্যন্ত। তবে মার্চে এসে এই দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার রুপিতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বর্ণের দাম কমার পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারের অবদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণে বিনিয়োগ কমতে শুরু করেছে। এর পেছনে কারণ, বন্ডের ক্ষেত্রে সুদের হার বেড়েছে। ফলে স্বর্ণ ছেড়ে বন্ড কেনাতেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা।

আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। এছাড়া স্বর্ণের দাম কমার অন্য কারণও রয়েছে।

এমনিতে গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কবলে পড়ে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। সেই সময় স্বর্ণের দাম রাতারাতি বাড়তে শুরু করে। এতে বিপাকে পড়েন খুচরা বিক্রেতারা।

ওই সময় অনিশ্চয়তার কবল থেকে বাঁচতে স্বর্ণতে বিনিয়োগই নিরাপদ বলে মনে করছিল বিনিয়োগকারীরা। তারা স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছিলেন, যার ফলে লাফিয়ে বেড়েছিল দাম। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ শেষে বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করে, তখন আবার স্বর্ণের দিক থেকে নজর সরে যায়। অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিবহুল কিন্তু বেশি রিটার্ন মিলবে এমন বাজারের দিকে ঝোঁক বেশি বিনিয়োগকারীদের। ফলে সবমিলিয়ে নিম্নমুখী স্বর্ণের বাজার।

এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রতি ১০ গ্রামের হিসাবে স্বর্ণের দাম যেখানে ৪০ হাজারের আশপাশে ছিল, সেখানে মার্চ থেকে তা বাড়তে বাড়তে আগস্টে গিয়ে ৫৬ হাজার রুপিতে পৌঁছায়। এরপরই শুরু হয় দাম কমার প্রবণতা।

Categories
International

চারজনের সঙ্গে ‘প্রেম’, লটারিতে বর বাছাই!

চারজনের সঙ্গে ‘প্রেম’, লটারিতে বর বাছাই!

ভারতের উত্তরপ্রদেশের রামপুরে ঘটেছে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। যা চমকে দিয়েছে সকলকে। রামপুর নামক ওই এলাকার এক কিশোরী চারজন তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। আর তার কারণে এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটাল গ্রামের পঞ্চায়েত।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই কিশোরী চারজন তরুণের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়! ওই চার তরুণের মধ্যে একজনের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠে তারা। এরপর সেখানেই লুকিয়ে থাকে পাঁচজন। এদিকে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে চায় কিশোরীর বাবা। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে থানায় যেতে দেওয়া হয়নি ওই ব্যক্তিকে। এরপর শুরু হয় পাঁচজনের খোঁজ। পরে জানা যায় কোথায় আছে তারা।

নিউজ এইটিনের খবরে বলা হয়, জোর করে তাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই চার তরুণকে আলাদা-আলাদা করে প্রশ্ন করা হয়- কে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে! চারজন তরুণই বিয়েতে নারাজ হয়। কিশোরীকে প্রশ্ন করা হলেও সে কাউকেই বিয়ে করতে চায় না। তারা জানায়, যে শুধু মাত্র ভালো বন্ধু তারা। কেউ প্রেম করছে না। কিন্তু সে সব কথা পঞ্চায়েত শোনেনি। ঠিক করা হয় লটারি খেলা হবে। লাকি ড্রতে যে তরুণের নাম উঠবে, তার সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে কিশোরীর। সেই মতো চারজনের নাম লিখে একটি পাত্রে রাখা হয়। গ্রামের একটি বাচ্চাকে সেই পাত্র থেকে একটি কাগজ তুলতে বলা হয়। যে নামটি ওঠে, তার সঙ্গেই মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হবে ঠিক করা হয়।

তবে এই সব বিষয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে ওই কিশোরী। কিন্তু যেহেতু চারজন তরুণের সঙ্গে গিয়েছিল, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তাই এটাই তাকে শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের রায় মেনে নিয়েছে কিশোরীর পরিবার। তাদের কথায় চারজনের সঙ্গে তো বিয়ে দেওয়া যাবে না, তাই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সকলে।
সূত্র : নিউজ এইটিন

Categories
International

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নওরিন হাসান

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নওরিন হাসান

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নওরিন হাসান। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্যাংকের তরফ থেকে গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নওরিন হাসানের নিয়োগ কার্যকর হবে ১৫ মার্চ। ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের গভর্নররা বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নওরিন হাসান নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তা এবং ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির ভোটের ক্ষেত্রেও বিকল্প সদস্য হবেন তিনি।

ওই বিবৃতিতে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং প্রধান জন সি. উইলিয়ামসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নওরিনের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দলকে উৎসাহিত করার গভীর প্রতিশ্রুতি এবং ব্যাপক প্রযুক্তি ও আর্থিক পরিষেবায় তার যে অভিজ্ঞতা; ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে তার ভূমিকার ক্ষেত্রে এসব গুরুত্ব রাখবে।

তিনি আরো বলেন, আমার দৃঢ়বিশ্বাস- নওরীন একজন অনুপ্রেরণামূলক ও উদ্ভাবনী নেতা হবেন এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন।

নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের পরিচালকদের প্রধান ডেনিসে স্কট বলেন, এই পদের জন্য আমরা যে ধরনের যোগ্য মানুষ খুঁজেছি, নওরিনের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবং কাজের দক্ষতা একই রকম।

জানা গেছে, নওরিন হাসানের বাবা-মা ভারতের কেরালা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তার বাবা জাভেদ কে. হাসান আইবিএম-এর সাবেক একজন কর্মকর্তা। এ ছাড়া তিনি এএমপি ইনকরপোরেশনের গ্লোবাল ইন্টার কানেক্ট সিস্টেমসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

সূত্র : গালফ নিউজ।

 

Categories
International

‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মোদি

‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং বিজেপি ক্ষমতায়  এলে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ রবিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করেন তিনি।

তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনগণের আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, পরিবর্তন নিয়ে রাজ্যের জনগণ দিদির ওপর ভরসা করেছিল, কিন্তু দিদি তাদের আশা ভেঙেছেন।

মোদি বলেন, ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলার উন্নয়নের আশ্বাস, এখানে বিনিয়োগ বাড়ানো, বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা এবং পরিবর্তন আনতে আমি আজ এখানে এসেছি। আমি এখানে আসল পরিবর্তনে আপনাদের বিশ্বাস ফেরাতে এসেছি। বাংলার উন্নয়নে, বাংলার অবস্থার পরিবর্তনে, বাংলায় বিনিয়োগ ও শিল্প বৃদ্ধি এবং বাংলার পুনর্নির্মাণে বিশ্বাসী করাতে এসেছি’ বলেন মোদি। তিনি বলেন, আগামী ২৫ বছর রাজ্যের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন পশ্চিমবঙ্গ আবার দেশকে নেতৃত্ব দেবে।

এ সময় মোদি রাজ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। বিজেপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও জোরদার করবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। তিনি সরকারব্যবস্থা, পুলিশ এবং প্রশাসনে জনগণের বিশ্বাসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর তিনি আজ বিকেলে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন, রাজ্যে তাঁর প্রথম সফর। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ আসনের বিধানসভার নির্বাচন আগামী ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আট ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ২ মে এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।

সূত্র : এনডিটিভি।

Categories
International

করোনা টিকা নিলেন দালাই লামা

করোনা টিকা নিলেন দালাই লামা

তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। গতকাল শনিবার (৬ মার্চ) ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

টিকা নিয়ে দালাই লামা বলেন, ‘এটি খুবই কার্যকর, খুব ভালো। ‘কিছু গুরুতর সমস্যা প্রতিরোধে’ সবার টিকা নেওয়া উচিত।’ যারা যারা টিকার জন্য উপযুক্ত তাদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

হিমাচলের কাংরা জেলার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. গুরদর্শন গুপ্ত বলেন, ‘টিকা কেন্দ্রে ‘সাধারণ মানুষের মতো করে’ টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দেন দালাইলামা। নিরপাত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সকালেই তাকে টিকা দেওয়ার আয়োজন করি।’

এর আগে গত বছর এই আধ্যাত্মিক নেতা বিবিসিকে বলেন, ‘করোনা মহামারি আমাদের সহনশীল বোধকে আরো জাগ্রত করল।’

গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে শুরুতে শুধু স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর ১ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। জুলাইয়ের মধ্যে ‘অগ্রাধিকার’ ভিত্তিতে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

সূত্র : বিবিসি।

Categories
International

জেন্ডার সমতার কয়েক দশকের অগ্রগতি নষ্ট করেছে করোনা: জাতিসংঘ মহাসচিব

জেন্ডার সমতার কয়েক দশকের অগ্রগতি নষ্ট করেছে করোনা: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী জেন্ডার সমতার কয়েক দশকের অগ্রগতি বিনষ্ট করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ‘কর্মহীনতার উচ্চহার থেকে শুরু করে অবৈতনিক সেবার ব্যাপক বোঝা, স্কুল বিঘ্নিত হওয়া থেকে শুরু করে পারিবারিক সহিংসতা ও শোষণের ক্রমবর্ধমান সংকট পর্যন্ত নারীদের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও অধিকার হয়েছে বিঘ্নিত।’

‘মায়েরা –বিশেষ করে একক নারীপ্রধান পরিবারের মায়েরা – তীব্র উদ্বেগ এবং প্রতিকূলতার সম্মুখিন হয়েছে। এর পরিণতি মহামারী শেষ হওয়ার পরও বহুদিন চলতে থাকবে।’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে মহামারী মোকাবেলায় নারীগণ প্রথম সারির ভূমিকাও পালন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মহামারীর এই সময়ে তাঁরা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং অর্থনীতি, সম্প্রদায়সমূহ এবং পরিবারগুলোকে একত্রে ধরে রাখার জন্য অত্যাবশ্যক কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, তাঁরা সেইসব নেতাদের অংশীজন যাঁরা মহামারীর প্রসার হ্রাস করেছে এবং দেশগুলোকে এর ক্ষতি  থেকে উত্তরণে ভূমিকা রেখেছে।

এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসটি  নারীদের সমান অংশীদারিত্বের রূপান্তরকারী শক্তিকে তুলে ধরে। জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি জাতিসংঘে আমরা নিজেরাই অবলোকন করছি, এবং আমি গর্বিত যে আমরা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের উচ্চ নেতৃত্বে  জেন্ডার সমতা অর্জন করেছি। এর প্রমাণ স্পষ্ট।’

নারী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘নারী যখন সরকারে নেতৃত্ব দেয়, তখন আমরা সামাজিক সুরক্ষা এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যক্ষ করি।’

‘নারী যখন সংসদে অধিষ্ঠিত থাকে, তখন জাতি আরও কঠোর জলবায়ু নীতি গ্রহণ করে। নারী যখন শান্তির আলোচনায় অংশ নেয়, তখন চুক্তিগুলি আরও স্থায়ী হয়। এবং এখন যখন জাতিসংঘের শীর্ষ নেতৃত্বে নারীরা সমান সংখ্যায় কাজ করছেন, আমরা শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আরও বেশি সংঘবদ্ধ পদক্ষেপ অবলোকন করছি ‘ -বলেন তিনি।

তবে জেন্ডার সমতা স্থাপনের জন্য পুরুষদের অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে স্বীকার করে তিনি বলেন, পুরুষ-অধ্যুষিত সংস্কৃতির সাথে একটি পুরুষ-অধ্যুষিত বিশ্বে, জেন্ডার সমতা মূলত শক্তির একটি  প্রশ্ন।

নারীদের সমান অংশগ্রহণকে এগিয়ে নিতে এবং দ্রুত অগ্রগতি অর্জনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ  এবং কোটা স্থাপন করার জন্য আমি দেশসমুহ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন দপ্তরগুলোকে আহ্বান জানান তিনি।

মহামারী থেকে পুনরুদ্ধার হওয়ার সময় সমর্থন ও প্রণোদনা প্যাকেজগুলি অবশ্যই নারী এবং  কন্যাশিশুদের লক্ষ্য করে তৈরীর পরামর্শ দেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে নারী মালিকানাধীন ব্যবসাসমূহ এবং সেবা ভিত্তিক অর্থনীতি।

মহামারী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আমাদের বর্জন ও অসমতার প্রজন্মকে পিছনে ফেলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনা, ব্যবসা অথবা যেকোন আন্দোলন হোক, নারী সবক্ষেত্রে এমন অবদান রাখছে যা সবার জন্য সহায়ক এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, ‘সকলের জন্য সমান ভবিষ্যত গড়ার এখনই সময়। সকলের কল্যাণের জন্য কাজটি করা সবার দায়িত্ব।’

Categories
International

স্টকহোম বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ই মার্চ উদযাপন

স্টকহোম বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ই মার্চ উদযাপন

রবিবার (৭ মার্চ) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। ৭ মার্চ সকালে দেশটির রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

বিকালে অনলাইনে জুম প্লাটফর্মে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের প্রথম সচিব আমরিন জাহানের সঞ্চালনায় ও রাষ্ট্রদূত মো. নাজমূল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতিক। সুইডেন, নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দূতাবাস প্রাঙ্গন থেকে যোগদান করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অনলাইনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের সমবেত শুদ্ধ স্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছাড়াও এ দিবসকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতিক ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’ বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পেছনের ইতিহাস বর্ণনা করে ব্যক্তিগত বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই একটি বক্তৃতা একটি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছে। এই ভাষণেই স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরো দিক নির্দেশনা ছিল। একটি ভাষণের এই অর্জন এবং গুণাবলী বিশ্বের ইতিহাসে অত্যন্ত দুর্লভ। বিশ্বজনীনতা এবং মানবিক গুণের কারণেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই ভাষণ শুধু মুক্তিকামী বাঙালিদেরই নয় বরং সারা বিশ্বের হতদরিদ্র এবং অত্যাচারিত মানুষদেরও ডাক দিয়েছিলেন এই ভাষণের মাধ্যমে। এরপর অনলাইনে উপস্থিত সুইডেন, নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বক্তারা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পটভূমির পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই ভাষণের স্বীকৃতির তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে বাঙালি জাতির মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। একটি ভাষণ একটি দেশের জন্ম দেয়। একটি রাজনৈতিক ভাষণ কীভাবে একটি জাতির মুক্তির দিশা দিতে পারে এবং সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক চেতনাকে সমৃদ্ধ করে নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা আহবান করে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে উপজীব্য করে এবং বুকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ের অনুভূতির নাম, হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকেই আমরা তাঁকে স্মরণ করি। ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ই মার্চের ভাষনের আবেদন সার্বজনীন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের এই ভাষণ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালির জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল। তিনি সকলের, সুস্থতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।