Categories
International

অ্যান্টার্কটিকায় নিউইয়র্কের চেয়ে বড় হিমশৈলে ভাঙন

অ্যান্টার্কটিকায় নিউইয়র্কের চেয়ে বড় হিমশৈলে ভাঙন

অ্যান্টার্কটিকায় একটি ব্রিটিশ গবেষণা স্টেশনের কাছে বিশাল আয়তনের এক হিমশৈল ভেঙে গেছে। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (ব্যাস) নামক এই গবেষণারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হিমশৈলটির আকৃতি ১ হাজার ২৭০ বর্গ কিলোমিটার যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের চেয়েও বড়। ১৫০ মিটার পুরু ব্রান্ট আইস শেলফ নামক একটি আইস শেলফ থেকে এটি ভেঙে যায়। এই আইস শেলফে গত প্রায় এক যুগ আগে বড় বড় ফাটল দেখা গিয়েছিল।

হিমশৈলটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আগে এর গায়ে কয়েক শ মিটার দীর্ঘ ফাটল দেখা দেয়। ব্রিটেনের হ্যালি ৬ গবেষণা স্টেশন আইস শেলফটির অবস্থা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করছে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের পরিচালক জেইন ফ্রান্সিস বলেন, ‘ব্রান্ট আইস শেলফে একটি হিমশৈলের বরফ ভাঙনের জন্য ব্যাসে আমাদের টিমগুলো কয়েক বছর ধরে প্রস্তুত ছিল।’

বরফ ভাঙতে থাকার কারণে হুমকি তৈরি হওয়ায় এই ভাসমান গবেষনাগারটি ২০১৬-১৭ সালে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সর্বশেষ হিমশৈল ভাঙনের ঘটনাটি গবেষণারের জন্য হুমকি তৈরি করবে না বলে জানান ব্যাসের বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (ব্যাস) অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় গবেষণাগার।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অ্যান্টার্কটিকায় হিমশৈল ভেঙে সাগরে পতিত হওয়ার ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে।

তবে সাম্প্রতিক হিমশৈল ভাঙনের ঘটনা সম্পর্কে ব্যাস বলছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এ ঘটনার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

জেইন ফ্রান্সিস বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে হিমশৈলটা হয়তো দূরে সরে যাবে। অথবা এটি জলে আটকে গিয়ে ব্রান্ট আইস শেলফের কাছাকাছিই অবস্থান করবে।’

সূত্র: এএফপি

 

By 하이테크전문가

건강에 대한 유익한 정보들을 나누어 드립니다.