Categories
International

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নওরিন হাসান

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নওরিন হাসান

নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নওরিন হাসান। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্যাংকের তরফ থেকে গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নওরিন হাসানের নিয়োগ কার্যকর হবে ১৫ মার্চ। ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের গভর্নররা বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নওরিন হাসান নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তা এবং ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির ভোটের ক্ষেত্রেও বিকল্প সদস্য হবেন তিনি।

ওই বিবৃতিতে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং প্রধান জন সি. উইলিয়ামসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নওরিনের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দলকে উৎসাহিত করার গভীর প্রতিশ্রুতি এবং ব্যাপক প্রযুক্তি ও আর্থিক পরিষেবায় তার যে অভিজ্ঞতা; ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে তার ভূমিকার ক্ষেত্রে এসব গুরুত্ব রাখবে।

তিনি আরো বলেন, আমার দৃঢ়বিশ্বাস- নওরীন একজন অনুপ্রেরণামূলক ও উদ্ভাবনী নেতা হবেন এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন।

নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের পরিচালকদের প্রধান ডেনিসে স্কট বলেন, এই পদের জন্য আমরা যে ধরনের যোগ্য মানুষ খুঁজেছি, নওরিনের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবং কাজের দক্ষতা একই রকম।

জানা গেছে, নওরিন হাসানের বাবা-মা ভারতের কেরালা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তার বাবা জাভেদ কে. হাসান আইবিএম-এর সাবেক একজন কর্মকর্তা। এ ছাড়া তিনি এএমপি ইনকরপোরেশনের গ্লোবাল ইন্টার কানেক্ট সিস্টেমসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

সূত্র : গালফ নিউজ।

 

Categories
International

‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মোদি

‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং বিজেপি ক্ষমতায়  এলে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজ রবিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করেন তিনি।

তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনগণের আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, পরিবর্তন নিয়ে রাজ্যের জনগণ দিদির ওপর ভরসা করেছিল, কিন্তু দিদি তাদের আশা ভেঙেছেন।

মোদি বলেন, ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলার উন্নয়নের আশ্বাস, এখানে বিনিয়োগ বাড়ানো, বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা এবং পরিবর্তন আনতে আমি আজ এখানে এসেছি। আমি এখানে আসল পরিবর্তনে আপনাদের বিশ্বাস ফেরাতে এসেছি। বাংলার উন্নয়নে, বাংলার অবস্থার পরিবর্তনে, বাংলায় বিনিয়োগ ও শিল্প বৃদ্ধি এবং বাংলার পুনর্নির্মাণে বিশ্বাসী করাতে এসেছি’ বলেন মোদি। তিনি বলেন, আগামী ২৫ বছর রাজ্যের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন পশ্চিমবঙ্গ আবার দেশকে নেতৃত্ব দেবে।

এ সময় মোদি রাজ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। বিজেপি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও জোরদার করবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। তিনি সরকারব্যবস্থা, পুলিশ এবং প্রশাসনে জনগণের বিশ্বাসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর তিনি আজ বিকেলে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন, রাজ্যে তাঁর প্রথম সফর। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ আসনের বিধানসভার নির্বাচন আগামী ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আট ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ২ মে এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।

সূত্র : এনডিটিভি।

Categories
International

করোনা টিকা নিলেন দালাই লামা

করোনা টিকা নিলেন দালাই লামা

তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। গতকাল শনিবার (৬ মার্চ) ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

টিকা নিয়ে দালাই লামা বলেন, ‘এটি খুবই কার্যকর, খুব ভালো। ‘কিছু গুরুতর সমস্যা প্রতিরোধে’ সবার টিকা নেওয়া উচিত।’ যারা যারা টিকার জন্য উপযুক্ত তাদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

হিমাচলের কাংরা জেলার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. গুরদর্শন গুপ্ত বলেন, ‘টিকা কেন্দ্রে ‘সাধারণ মানুষের মতো করে’ টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দেন দালাইলামা। নিরপাত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সকালেই তাকে টিকা দেওয়ার আয়োজন করি।’

এর আগে গত বছর এই আধ্যাত্মিক নেতা বিবিসিকে বলেন, ‘করোনা মহামারি আমাদের সহনশীল বোধকে আরো জাগ্রত করল।’

গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে শুরুতে শুধু স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর ১ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। জুলাইয়ের মধ্যে ‘অগ্রাধিকার’ ভিত্তিতে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

সূত্র : বিবিসি।

Categories
International

জেন্ডার সমতার কয়েক দশকের অগ্রগতি নষ্ট করেছে করোনা: জাতিসংঘ মহাসচিব

জেন্ডার সমতার কয়েক দশকের অগ্রগতি নষ্ট করেছে করোনা: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী জেন্ডার সমতার কয়েক দশকের অগ্রগতি বিনষ্ট করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, ‘কর্মহীনতার উচ্চহার থেকে শুরু করে অবৈতনিক সেবার ব্যাপক বোঝা, স্কুল বিঘ্নিত হওয়া থেকে শুরু করে পারিবারিক সহিংসতা ও শোষণের ক্রমবর্ধমান সংকট পর্যন্ত নারীদের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও অধিকার হয়েছে বিঘ্নিত।’

‘মায়েরা –বিশেষ করে একক নারীপ্রধান পরিবারের মায়েরা – তীব্র উদ্বেগ এবং প্রতিকূলতার সম্মুখিন হয়েছে। এর পরিণতি মহামারী শেষ হওয়ার পরও বহুদিন চলতে থাকবে।’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে মহামারী মোকাবেলায় নারীগণ প্রথম সারির ভূমিকাও পালন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মহামারীর এই সময়ে তাঁরা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং অর্থনীতি, সম্প্রদায়সমূহ এবং পরিবারগুলোকে একত্রে ধরে রাখার জন্য অত্যাবশ্যক কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, তাঁরা সেইসব নেতাদের অংশীজন যাঁরা মহামারীর প্রসার হ্রাস করেছে এবং দেশগুলোকে এর ক্ষতি  থেকে উত্তরণে ভূমিকা রেখেছে।

এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবসটি  নারীদের সমান অংশীদারিত্বের রূপান্তরকারী শক্তিকে তুলে ধরে। জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি জাতিসংঘে আমরা নিজেরাই অবলোকন করছি, এবং আমি গর্বিত যে আমরা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের উচ্চ নেতৃত্বে  জেন্ডার সমতা অর্জন করেছি। এর প্রমাণ স্পষ্ট।’

নারী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘নারী যখন সরকারে নেতৃত্ব দেয়, তখন আমরা সামাজিক সুরক্ষা এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে বৃহত্তর বিনিয়োগ প্রত্যক্ষ করি।’

‘নারী যখন সংসদে অধিষ্ঠিত থাকে, তখন জাতি আরও কঠোর জলবায়ু নীতি গ্রহণ করে। নারী যখন শান্তির আলোচনায় অংশ নেয়, তখন চুক্তিগুলি আরও স্থায়ী হয়। এবং এখন যখন জাতিসংঘের শীর্ষ নেতৃত্বে নারীরা সমান সংখ্যায় কাজ করছেন, আমরা শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আরও বেশি সংঘবদ্ধ পদক্ষেপ অবলোকন করছি ‘ -বলেন তিনি।

তবে জেন্ডার সমতা স্থাপনের জন্য পুরুষদের অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে স্বীকার করে তিনি বলেন, পুরুষ-অধ্যুষিত সংস্কৃতির সাথে একটি পুরুষ-অধ্যুষিত বিশ্বে, জেন্ডার সমতা মূলত শক্তির একটি  প্রশ্ন।

নারীদের সমান অংশগ্রহণকে এগিয়ে নিতে এবং দ্রুত অগ্রগতি অর্জনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ  এবং কোটা স্থাপন করার জন্য আমি দেশসমুহ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন দপ্তরগুলোকে আহ্বান জানান তিনি।

মহামারী থেকে পুনরুদ্ধার হওয়ার সময় সমর্থন ও প্রণোদনা প্যাকেজগুলি অবশ্যই নারী এবং  কন্যাশিশুদের লক্ষ্য করে তৈরীর পরামর্শ দেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে নারী মালিকানাধীন ব্যবসাসমূহ এবং সেবা ভিত্তিক অর্থনীতি।

মহামারী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আমাদের বর্জন ও অসমতার প্রজন্মকে পিছনে ফেলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনা, ব্যবসা অথবা যেকোন আন্দোলন হোক, নারী সবক্ষেত্রে এমন অবদান রাখছে যা সবার জন্য সহায়ক এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, ‘সকলের জন্য সমান ভবিষ্যত গড়ার এখনই সময়। সকলের কল্যাণের জন্য কাজটি করা সবার দায়িত্ব।’

Categories
International

স্টকহোম বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ই মার্চ উদযাপন

স্টকহোম বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ই মার্চ উদযাপন

রবিবার (৭ মার্চ) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। ৭ মার্চ সকালে দেশটির রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

বিকালে অনলাইনে জুম প্লাটফর্মে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের প্রথম সচিব আমরিন জাহানের সঞ্চালনায় ও রাষ্ট্রদূত মো. নাজমূল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতিক। সুইডেন, নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দূতাবাস প্রাঙ্গন থেকে যোগদান করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অনলাইনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের সমবেত শুদ্ধ স্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছাড়াও এ দিবসকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতিক ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’ বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পেছনের ইতিহাস বর্ণনা করে ব্যক্তিগত বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই একটি বক্তৃতা একটি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছে। এই ভাষণেই স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরো দিক নির্দেশনা ছিল। একটি ভাষণের এই অর্জন এবং গুণাবলী বিশ্বের ইতিহাসে অত্যন্ত দুর্লভ। বিশ্বজনীনতা এবং মানবিক গুণের কারণেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই ভাষণ শুধু মুক্তিকামী বাঙালিদেরই নয় বরং সারা বিশ্বের হতদরিদ্র এবং অত্যাচারিত মানুষদেরও ডাক দিয়েছিলেন এই ভাষণের মাধ্যমে। এরপর অনলাইনে উপস্থিত সুইডেন, নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বক্তারা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পটভূমির পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই ভাষণের স্বীকৃতির তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে বাঙালি জাতির মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। একটি ভাষণ একটি দেশের জন্ম দেয়। একটি রাজনৈতিক ভাষণ কীভাবে একটি জাতির মুক্তির দিশা দিতে পারে এবং সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক চেতনাকে সমৃদ্ধ করে নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা আহবান করে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে উপজীব্য করে এবং বুকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ের অনুভূতির নাম, হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকেই আমরা তাঁকে স্মরণ করি। ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ই মার্চের ভাষনের আবেদন সার্বজনীন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের এই ভাষণ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালির জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল। তিনি সকলের, সুস্থতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Categories
National

ধীরে উধাও আনিসুল হকের সেই সবুজ বাতি

ধীরে উধাও আনিসুল হকের সেই সবুজ বাতি

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এবং মাঝখানে স্ট্রিট লাইটের খুঁটি জড়িয়ে লাগানো হয়েছিল সবুজ বাতি। এ ছাড়া এই সড়কের দুই পাশে বৃক্ষরোপণ, ফুলের টব, দেশি-বিদেশি দৃষ্টিনন্দন ফুলের গাছ লাগানো হয়েছিল। সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছিল এলইডি টিভি। ডিজিটাল যাত্রীছাউনি, আলপনাসহ ইট-পাথরের তৈরি নানা স্থাপনা, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যও স্থাপন করা হয়েছিল। বাকি ছিল যাত্রীছাউনিতে ওয়াই ফাই সংযোগ, এটিএম বুথ ও ঝরনা স্থাপন।

২০১৫ সালে আনিসুল হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে ২০১৬ সালের  নভেম্বরে শুরু করা হয় সড়কটি সজ্জিতকরণের কাজ। মেয়র আনিসুল হক ‘এয়ারপোর্ট রোডের সৌন্দর্যবর্ধন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে শুরু করেন কাজটি। কাজটি শেষ করার সময় ধরা হয়েছিল ২০১৭ সালের  মার্চ মাস।

আর  প্রকল্প ব্যয় ছিল ৯০ কোটি টাকা। ‘বিলাই ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের টাকার জোগান দেয়। কাজটি তত্ত্বাবধান করে সরকারের সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়।

কিন্তু ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুতে ভাটা পড়ে বিমানবন্দর সড়ক দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ। ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যায় এই সড়কের সবুজ বাতি। সড়কটির নান্দনিক অন্যান্য আয়োজনও ম্লান হতে থাকে। সড়কটির নান্দনিক উদ্যোগ বর্তমানে অনেকটাই বিবর্ণ।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ডিজিটাল যাত্রীছাউনির কয়েকটির ভেতরে যাত্রী বসার স্থানে রাখা হয়েছে ঠিকাদারের নানা জিনিসপত্র।  সড়কের কোথাও দেখা যায়নি সবুজ বাতি। চলছে না এলইডি টিভি। পরিচর্যার অভাবে ধুলার মোটা আস্তর জমেছে বিদেশ থেকে আনা দামি গাছগুলোয়। পানির অভাবে নিশ্চিহ্ন হয়েছে অনেক ফুলগাছ। এটিএম বুথ বসানোর কথা থাকলেও তা আর বসানো হয়নি। সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে শোভাবর্ধন করা আলপনাও আর নেই। সেখানে এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়।

দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সড়কে সবুজ বাতির প্রকল্পটি ছিল সড়ক বিভাগের, আমাদের নয়। আমরা ওই সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন করছি। আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।’

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সড়ক বিভাগ ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সবুজ বাতিতে সড়কের আলো কম হচ্ছিল বলে সবুজ বাতি সরিয়ে সাদা বাতি লাগানো হয়েছে। সড়ক নান্দনিক করার কোনো কর্মসূচিই বাদ দেওয়া হয়নি।’

 

Categories
National

রেলের নতুন একঝাঁক ব্রডগেজ ইঞ্জিন এলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে

রেলের নতুন একঝাঁক ব্রডগেজ ইঞ্জিন এলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে

চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রগ্রেস রেলের আটটি ব্রডগেজ লোকো (ইঞ্জিন)। ইঞ্জিন সংকট কাটাতে ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম ধাপে এর আটটি আজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

আজ শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে ইঞ্জিনগুলো নিয়ে একটি জাহাজ এসে পৌঁছালে তা খালাসের কাজ শুরু হয়।

রেলের সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ট্রায়ালের পর ইঞ্জিনগুলো রেলের বহরে ‍যুক্ত হতে মাসখানেক লাগবে।

প্রগ্রেস রেলের ব্রডগেজ ৪০টি লোকো ক্রয়ে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর মো. নূরুল ইসলাম সুজন এসব লোকো কেনার চুক্তি করেন ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি।

লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকটে বহুদিন ধরেই ধুঁকছে রেল। ইঞ্জিনের অভাবে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনা করতে পারছে না রেলওয়ে। এতে করে চলন্ত অবস্থায় প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে ইঞ্জিনগুলো। এ ছাড়া ইঞ্জিন পুরনো হওয়ায় নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিকাংশ ট্রেন চলছে কম গতিতে। এর ফলে ক্রমাগত শিডিউল বিপর্যয় ঘটায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি নতুন মিটারগেজ ইঞ্জিন রেলবহরে যুক্ত হয় ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তবে সে ইঞ্জিনগুলো নিম্নমানের হওয়ায় তা এখন চালানো হচ্ছে না। কবে নাগাদ সেগুলো চালানো হবে সে সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি রেলওয়ে।

Categories
National

জাতির পিতার হাত দিয়েই এ দেশে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল

জাতির পিতার হাত দিয়েই এ দেশে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতার হাত দিয়েই এ দেশে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রের স্বর্ণালি সময় ফিরিয়ে আনার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর বেশি করে চলচ্চিত্র নির্মাণেরও আহ্বান জানান।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ শনিবার ঢাকায় মুজিব শতবর্ষ ও ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারী নির্মাতাদের নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের আয়োজনে ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ৩ দিনব্যাপী জয়িতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ ও জীবনের কথা বলে। দেশীয় চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে সুস্থ বিনোদন দিতে সারা দেশে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন জরুরি। নারী নির্মাতারাও যাতে আরো চলচ্চিত্রমুখী হয় সে জন্য সরকারের পাশাপাশি শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য ও জয়গাথা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তনে উৎসবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের সভাপতি দিলদার হোসেন, এস এস কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুমন ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি রাজু আলীম।

উৎসবের উদ্বোধনী দিনে নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা নারগিস আক্তার, শাহনেওয়াজ কাকলী ও  নানজিবা খানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে কোহিনুর আক্তার সুচন্দার হাজার বছর ধরে, নারগিস আক্তারের মেঘলা আকাশ, সামিয়া জামানের রানী কুঠির বাকি ইতিহাস, মৌসুমীর কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, শাহনেওয়াজ কাকলীর উত্তরের সুর ও নানজিবা খানের দা ওয়ান্টেড টুইন।

আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।

 

Categories
National

কাল বুড়িগঙ্গার তীরে বর্ণিল আতশবাজিসহ নানা আয়োজন

কাল বুড়িগঙ্গার তীরে বর্ণিল আতশবাজিসহ নানা আয়োজন

ফাইল ফটো

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ প্রদত্ত ভাষণের দিনটি এবং জন্মশতবার্ষিকীতে জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপনে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আগামীকাল সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিল প্রাঙ্গণে এক আলোচনাসভা ও ৭ টায় বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করছে ডিএসসিসি।

আলোচনাসভায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ ও উপস্থিত জনতা বুড়িগঙ্গার তীরে আতশবাজির বর্ণিল পরিবেশ উপভোগ করবেন।

এ ছাড়াও এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ধানমন্ডি ৩২-সহ প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোতে পরিচালনা করা হচ্ছে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। নগরীর শিক্ষা ভবন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সড়কদ্বীপ, মতিঝিলের শাপলা চত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), কার্জন হল সম্মুখস্থ সড়কদ্বীপসমূহ এবং চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখের সড়কদ্বীপসমূহ, ঢাকা শহরের প্রবেশমুখসমূহে এবং ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকার ফ্লাইওভার ও ফুটওভার ব্রিজসমূহ রঙিন ব্যানার-ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হচ্ছে।

শহিদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের রাস্তা-ঘাটের ধুলোবালি রোধে পানি ছিটানো, উদ্যান এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনকে আলোকসজ্জিত করা হয়েছে। একই সাথে নগর ভবনসহ ডিএসসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহে এবং হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থাপনায় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পাশাপাশি সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করবেন।

এদিকে জন্মশতবার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপনে গ্রহণ করা হয়েছে নানাবিধ আয়োজন ও কার্যক্রম। এদিন দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সকল নবজাতক শিশুকে জন্মসনদসহ উপহার হিসেবে প্রদান করা হবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের শুভেচ্ছা স্মারক।

এ ছাড়াও ডিএসসিসির আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আয়োজন করা হবে বিশেষ শোভাযাত্রা। একই সাথে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান যা গত ১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ৮ মার্চ থেকে ডিএসসিসির প্রতিটি অঞ্চলে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পক্ষ শুরু হচ্ছে।

এদিন (১৭ মার্চ) ডিএসসিসি এলাকায় অবস্থিত একটি এতিমখানায় বসবাসরত এতিমদের পরিবেশন করা হবে উন্নতমানের খাবার। আয়োজন করা হবে আলোচনাসভা ও সেমিনার, থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। আয়োজনকে মনোমুগ্ধকর ও বর্ণিল করতে থাকবে আতশবাজির বর্ণচ্ছটা। এ উপলক্ষে প্রকাশ করা হবে বিশেষ প্রকাশনা।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও ১৭ মার্চ উপলক্ষে ডিএসসিসির সার্বিক আয়োজন প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর জন্মদিন জাঁকজমকভাবে উদযাপন এর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। জাতীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে দিন আমরা বিশদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আয়োজনের অংশ হিসেবে এদিন সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পর্ণের মাধ্যমে আমরা দিবসের কার্যক্রম শুরু করব। নগর ভবনসহ ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আমরা মাসব্যাপী আলোকসজ্জার আয়োজন করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডকে লক্ষ রেখে আমরা বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা পক্ষ পরিচালনা করব। এ ছাড়াও এ উপলক্ষে আমাদের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৭ মার্চ ডিএসসিসি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুকে মেয়র মহোদয়ের পক্ষ হতে বিশেষ শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হবে। এদিন আমরা ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে ৭৫টি র‌্যালির আয়োজন করছি। একইসাথে আয়োজন করা হবে আলোচনাসভা ও সেমিনার।

Categories
National

৬ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

৬ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গাসহ ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুরে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ে এই দমকা হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তারপরের দুই দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তাপমাত্রা বাড়তে পারে তারপরের পাঁচ দিনে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এদিকে, আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে।