Categories
Lifestyle

গরমে যেভাবে অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন নেবেন

গরমে যেভাবে অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন নেবেন

শীত শেষে গরমের আগমনে প্রকৃতি যেন আবার নতুন রূপে সাজছে। গরমে আমরা যেমন কষ্ট পাই; তেমনি সব প্রাণীরাও কাতরায়। অনেকের ঘরেই অ্যাকুরিয়াম থাকে। এতে থাকা মাছগুলোর যদি শীত-গরমে সঠিক পরিচর্যা না করা হয়; তাহলে মরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কারণ অ্যাকুরিয়ামের মাছেরা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে মাছগুলো অসুস্থ হয়ে পরবে এবং মারাও যেতে পারে। বিভিন্ন জাতের মাছ বিভিন্ন তাপমাত্রা পর্যন্ত সহ্য করতে পারে।

গরমে অ্যাকুরিয়ামের পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়ে যায়। তখন কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করলে মাছকে অ্যাকুরিয়ামে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন। জেনে নিন করণীয়-

>> যাদের ঘরে এসি চলে; সে ঘরে অ্যাকুরিয়াম থাকলে পানির তাপমাত্রা হয়তো বাড়বে না। তবে এসি বন্ধ থাকলে পানির তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তাই পানির তাপমাত্রার বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

> এসি না থাকলে অ্যাকুরিয়ামের উপরের ঢাকনা খুলে রেখে ঘরে ফ্যান চালিয়ে রাখুন। এতে অ্যাকুরিয়ামের পানির তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কম হবে। বর্তমানে অ্যাকুরিয়ামের জন্য বিশেষ ধরনের ফ্যান কিনতে পাওয়া যায়।

>> অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে গাছ লাগান। এতে পানির তাপমাত্রা কম থাকবে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মাছের হজমের সমস্যা হয়। তাই অ্যাকুরিয়ামে গাছ থাকলে মাছ ওই গাছের পাতা খেয়ে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।

>> মাছের হজমে সমস্যা হলে খাবার রুচি থাকে না। তাই এ সময় মাছের খাবার দেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। মাছকে দিনের বেলায় কম খেতে দিন বা না দিলেও চলবে। শুধু রাতে খেতে দিন। কারণ দিনের বেলা থেকে রাতে অ্যাকুরিয়ামে পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কম থাকে।

> এ সময় অ্যাকুরিয়ামের মাছগুলোকে কম প্রোটিনযুক্ত এবং বেশি ফাইবার আছে, এমন ধরনের খাবার দিন। এতে মাছের খাবার হজম করতে সহজ হবে।

>> পানির তাপমাত্রা যত বেশি থাকবে, তাতে অক্সিজেনের পরিমাণ ততই কম হবে। তাই অ্যাকুরিয়ামের পানিতে এয়ার পাম্পের সাহায্যে বেশি পরিমাণ বাতাস সরবরাহ করুন।

>> এ সময় সপ্তাহে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ ভাগ পানি বদল করুন।

>> সপ্তাহে একদিন খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন।

>> অ্যাকুরিয়ামের সামনের কাঁচ কালো কাপড় বা কাগজ দিয়ে আড়াল করে দিন। কারণ ভয় পেলে মাছের স্ট্রোক হতে পারে।

>> অ্যাকুরিয়ামের মাছকে সপ্তাহে একদিন শসা বা তরমুজের ছোট টুকরো দিতে পারেন। যেদিন এ খাবার দেবেন; সেদিন অ্যাকুরিয়ামের মাছকে আর অন্য কোনো খাবার দেবেন না।

অ্যাকুরিয়াম আপডেট/জেএমএস/এমএস

Categories
Lifestyle

গরম ভাতের সঙ্গে পাতে নিন টমেটোর চাটনি

গরম ভাতের সঙ্গে পাতে নিন টমেটোর চাটনি

বাজারে এখন টমেটোর দাম হাতের নাগালে। অনেকেই এ সময় বেশি করে টমেটো কিনে বিভিন্ন পদ রেঁধে খাচ্ছেন! সালাদের পাশাপাশি টমেটো দিয়ে মাছ রান্না থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ তৈরি করা যায়।

টমেটোর সস ছাড়া তো আবার ভাজা-পোড়া খাবারও মুখে রুচে না। তবে টমেটোর বিভিন্ন পদের মধ্যে এর চাটনি খাওয়ার মজাই কিন্তু আলাদা। যঙদি তা হয় গরম ভাতের সঙ্গে!

সামান্য কিছু উপকরণ ও কয়েক মিনিট সময়ের মধ্যেই কিন্তু মজাদার টমেটোর চাটনি আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন।

হাতে সময় নেই আবার পেটে অনেক ক্ষুধা, এমন সময় গরম ভাতের সঙ্গে টমেটোর চাটনির স্বাদ আপনাকে বেশ তৃপ্তি দেবে।

তাহলে আর দেরি কেন, চলুন ঝটপট হাতের কাছে থাকা টমেটোগুলো নিয়ে রান্নাঘরে চলে যান। তৈরি করুন জিভে জল আনা টমেটোর চাটনি। রইলো রেসিপি-

উপকরণ

১. টমেটো কুচি ২ কাপ
২. পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ
৩. শুকনো মরিচ ৪টি
৪. কিশমিশ ৮-১০টি
৫. আদা কুচি ১ টেবিল চামচ
৬. সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ
৭. চিনি আধা কাপ
৮. মরিচের গুঁড়ো আধা চা চামচ
৯. লবণ স্বাদমতো
১০. ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো

পদ্ধতি

চুলায় প্যান বসিয়ে সামান্য একটু সরিষার তেল গরম করে নিন। এবার পাঁচফোড়ন ও শুকনো মরিচ ভেঙে দিয়ে ভেজে নিন হালকা আঁচে।

এবার টমেটো কুচি ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। একেক করে সব উপকরণ মিশিয়ে ১-২ মিনিট নাড়ুন। এরপর ঢেকে রান্না করুন আরও ৫ মিনিট।

তারপর ঢাকনা উঠিয়ে বারবার নাড়তে থাকুন, তাহলে সেদ্ধ টমেটোগুলো গলে যাবে। যখন দেখবেন সবগুলো টমেটো ম্যাশড হয়ে গেছে; তখন নামিয়ে ফেলুন।

নামানোর আগে ধনেপাতা দিতে ভুলবেন না! গরম ভাতের উপরে টমেটোর চাটনি সাজিয়ে পরিবেশন করুন। সঙ্গে সাজিয়ে দিতে পারে ২টি কাঁচা মরিচ।

Categories
Lifestyle

ফোন পাশে রেখে ঘুমান? হতে পারে যেসব বিপদ

ফোন পাশে রেখে ঘুমান? হতে পারে যেসব বিপদ

দিন বা রাত অধিকাংশ সময়ই সেল ফোনটিকে হাতছাড়া করতে চাই না আমরা। সারাক্ষণ ফোনেই মুখ গুজে কেটে যায়। হোকা সেটা কোন কাজে বা হোক ফেসবুক স্ক্রোলিং করতে। এমনকি ঘুমানোর সময়ও ফোন একেবারে পাশে রেখে ঘুমায় যায়। দিনের পর দিন এ অভ্যাস হতে থাকলে সাবধান হতে হবে।কারণ ঘুমানোর সময় পাশে ফোন রাখলে অনেক সমস্যা হতে পারে।

ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়: অনেকেই আছেন, বিছানায় পড়া মাত্র ঘুমিয়ে যান। নিয়মিত ভালো ঘুম হয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম আসতে চায় না। এক্ষেত্রে রাত জেগে থাকার অভ্যাস, অনিদ্রা বা ঘুম না ধরার পিছনে ফোনও কিন্তু একটি বড় সমস্যা। বেশ কয়েকটি সমীক্ষাতেও একই তথ্য উঠে এসেছে। আসলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শরীর ও মস্তিষ্কও একটা প্রস্তুতি নেয়। হালকা হতে চায়। কিন্তু ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেম খেললে, সোশ্যাল সাইটে চ্যাটিং করতে থাকলে ঘুমোনোর জন্য সেই শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া যায় না।

স্লিপ সাইকেলে বাধা হয়ে দাঁড়ায়: অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মানুষজনের সার্কাডিয়ান রিদমের একটি যোগ রয়েছে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের কাজকেও প্রভাবিত করে। স্বভাবজাত ভাবে ঘুমের একটি চক্র থাকে। অর্থাৎ মানুষ মাত্রই একটি স্বাভাবিক স্লিপ সাইকেল রয়েছে। যা সম্পূর্ণ হওয়া মাত্রই ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু রাত জেগে ফোন ব্যবহার করলে, বা ফোনের প্রতি আসক্ত থাকলে সেই স্লিপ সাইকেল ব্যাহত হয়। এক্ষেত্রে ফোনের এই ব্লু লাইট থেকে বাঁচতে হলে ঘুমোতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই ফোনের ব্যবহার ছেড়ে দিতে হবে।

তেজস্ক্রিয় বিকিরণ:  অনেকেই দাবি করেন, ফোনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে ক্যানসার হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন। ১৯৯৯ সালে ইঁদুরদের উপরে সেল ফোনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। তাদের শরীরে ম্যালিগন্যান্ট-সহ সাধারণ টিউমারও দেখা যায়। তবে অধিকাংশ গবেষণাই এই বিষয়টিকে অস্বীকার করেছে। তবে সচেতনতাই সব চেয়ে ভালো পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে ফোনটিকে দূরে সরিয়ে রাখাই শ্রেয়। যদি ঘুমোনোর সময় গান শোনা বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ কল করতে হয়, তাহলে ইয়ারবাড বা ব্লুটুথ স্পিকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

তাহলে প্রশ্ন হতে পারে রাতে ঘুমানোর সময় ফোন কোথায় রাখবো। ফোন আপনার ঘরেই রাখেন। তবে তা যেন অন্তত তিন ফুট দূরত্ব হয়। এতে করে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকবে।

সূত্র: নিউজ১৮

Categories
Lifestyle

ঘুমের আগে ত্বকের যত্নে যা যা জরুরী

ঘুমের আগে ত্বকের যত্নে যা যা জরুরী

ত্বক ভালো রাখতে কে না চায়। তবে সুন্দর ও লাবণ্যময়ী স্কিন পেতে চাইলে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। সেই সাথে জীবনযাত্রায় আনতে হবে পরিবর্তন। দিনে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সারাদিন কাজ শেষে বাসায় এসে  রাতেও যত্ন নিতে হবে। সারাদিনের ক্লান্তি থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার থেকে শুরু করে ময়েশ্চারাইজার দেওয়া,ভালো ঘুম হওয়াও অনেক জরুরী। রাতে ত্বকের যত্নে কী কী করা যেতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

মুখ ধোওয়া:

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। না হলে মুখে ময়লা জমে ব্রণের সমস্যা সহ আরো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার:

মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। মুখের যে ড্রাই সেলগুলো থাকে তা নতুন করে তৈরি হবে। আর ড্রাই সেলের জন্য স্কিন দেখতে প্রাণহীন দেখায়।

ভালো মানের প্রোডাক্ট ব্যবহার:

সারারাত আপনার স্কিন যখন বিশ্রামে থাকে তখন অবশ্যই ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।এতে করে সারারাত প্রদাহের বিপরীতে কাজ করবে স্কিন।

বালিশের কভার পরিবর্তন:

পারলে প্রতিদিনেরটা প্রতিদিন বালিশের কভার পরিবর্তন করতে হবে। যাদের স্কিন ওয়েলি,ব্রণের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি জরুরী।

সঠিকভাবে ঘুমানো:

প্রয়োজনে দুইটি বালিশ নিয়ে ঘুমাতে হবে। এতে করে চোখের ফোলাভাব কমে।

বেবি ওয়াশ কাপড় ব্যবহার:

আপনার যদি সেন্সেটিভ স্কিন নাও হয়ে থাকে তবুও মুখ পরিষ্কার করতে নরম শিশুদের জন্য ব্যবহৃত কাপড় ব্যবহার করুন।

আইক্রিম সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা:

আইক্রিম যারা ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই একেবারে চোখের নিচে যেখানে আইল্যাশ থাকে ওইখানে আইক্রিম ব্যবহার করবেন না।কোনভাবে চোখের ভিতর আইক্রিম প্রবেশ করলে চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম:

স্কিন ভালো রাখতে ঘুম অনেক জরুরী। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার স্কিন থাকবে লাবণ্যময়।

সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া

Categories
Lifestyle

হাতের নখ সুন্দর রাখতে কী করবেন?

হাতের নখ সুন্দর রাখতে কী করবেন?

লাল, নীল, হলুদ বা নেল পেইণ্ট। সাজিয়ে গুছিয়ে রাখলে কত সুন্দরই না লাগে দেখতে হাতগুলো। কিন্তু এই রং তুলে দিলেই বেরিয়ে পড়ে নখের আসল রূপ। ঘোলাটে একটা রং সুন্দর হাতটাকে নষ্ট করে দেয়। তাহলে উপায় কি সারাক্ষণ হাতে নেলপলিশ লাগিয়ে রাখা? একদমই তা নয়। জেনে নেওয়া যাক সুন্দর ফকফকে সাদা নখ পাওয়ার কিছু সহজ টিপস।

সুন্দর নখ পাওয়া ৬টি উপায়:

১. দাঁত ব্রাশ করার মতোই ব্রাশ করুন নখ। টুথ ব্রাশে টুথপেস্ট তা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে নখ। বেশকিছু দিন এই পদ্ধতি চালিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে ঝকঝকে নখ।

২. একটা কাচের পাত্রে বেশ কিছুটা লেবুর রস করে তার সঙ্গে বেসন মেশাতে হবে। লেবুর রস আর বেসনের পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে ওই পেস্ট নখের ওপর লাগিয়ে রাখতে হবে।

৩. দাঁত পরিষ্কার করার জন্য ওষুধের দোকানে এক ধরণের ট্যাবলেট কিনতে পাওয়া যায়। এই ট্যাবলেট গরম পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে মিনিট পাঁচ ডুবিয়ে রাখতে হবে নখ।

৪. নখের সাদা ভাব ধরে রাখতে সবসমইয় নেল পলিশ লাগানোর আগে লাগানো দরকার বেস কোট। এতে নখ ভালো থাকে।

৫. শীত হোক বা গ্রীষ্ম। হাত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। রোজ নিয়ম করে লাগাতে হবে ময়েশ্চারাইজার।

৬. নখ সাদা রাখার জন্য দোকানে কিনতে পাওয়া যায় নেল হোয়াইটনিং পেনসিল। প্রয়োজনে গোটা ম্যানিকিউরের কিট কিনে বাড়িতেই করা যেতে পারে ম্যানিকিউর। এতে নখ শুধু সাদাই হবে না, ভালো থাকবেও।

সূত্র: জি নিউজ

Categories
International

অ্যান্টার্কটিকায় নিউইয়র্কের চেয়ে বড় হিমশৈলে ভাঙন

অ্যান্টার্কটিকায় নিউইয়র্কের চেয়ে বড় হিমশৈলে ভাঙন

অ্যান্টার্কটিকায় একটি ব্রিটিশ গবেষণা স্টেশনের কাছে বিশাল আয়তনের এক হিমশৈল ভেঙে গেছে। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (ব্যাস) নামক এই গবেষণারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হিমশৈলটির আকৃতি ১ হাজার ২৭০ বর্গ কিলোমিটার যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের চেয়েও বড়। ১৫০ মিটার পুরু ব্রান্ট আইস শেলফ নামক একটি আইস শেলফ থেকে এটি ভেঙে যায়। এই আইস শেলফে গত প্রায় এক যুগ আগে বড় বড় ফাটল দেখা গিয়েছিল।

হিমশৈলটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আগে এর গায়ে কয়েক শ মিটার দীর্ঘ ফাটল দেখা দেয়। ব্রিটেনের হ্যালি ৬ গবেষণা স্টেশন আইস শেলফটির অবস্থা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করছে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের পরিচালক জেইন ফ্রান্সিস বলেন, ‘ব্রান্ট আইস শেলফে একটি হিমশৈলের বরফ ভাঙনের জন্য ব্যাসে আমাদের টিমগুলো কয়েক বছর ধরে প্রস্তুত ছিল।’

বরফ ভাঙতে থাকার কারণে হুমকি তৈরি হওয়ায় এই ভাসমান গবেষনাগারটি ২০১৬-১৭ সালে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সর্বশেষ হিমশৈল ভাঙনের ঘটনাটি গবেষণারের জন্য হুমকি তৈরি করবে না বলে জানান ব্যাসের বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (ব্যাস) অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় গবেষণাগার।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অ্যান্টার্কটিকায় হিমশৈল ভেঙে সাগরে পতিত হওয়ার ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে।

তবে সাম্প্রতিক হিমশৈল ভাঙনের ঘটনা সম্পর্কে ব্যাস বলছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এ ঘটনার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

জেইন ফ্রান্সিস বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে হিমশৈলটা হয়তো দূরে সরে যাবে। অথবা এটি জলে আটকে গিয়ে ব্রান্ট আইস শেলফের কাছাকাছিই অবস্থান করবে।’

সূত্র: এএফপি

 

Categories
International

ভারতের সেরা শহর বেঙ্গালুরু

ভারতের সেরা শহর বেঙ্গালুরু

এ যেন শহরে শহরে লড়াই। কোন শহর সবথেকে বাসযোগ্য? এ নিয়েই যেন প্রতিযোগিতার আসর। ভারতে সহজ জীবনযাত্রার তালিকায় এবার বাসযোগ্যতার দিক দিয়ে সেরা শহর হয়েছে বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুনে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেদাবাদ।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানাচ্ছে, ১০ লাখের কম জনসংখ্যার শহরের তালিকাও প্রকাশ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়কমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

এই তালিকায় এক নম্বর জায়গা অর্জন করেছে সিমলা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভুবনেশ্বর, তৃতীয় সিলভাসা। এরপরই এই তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া, সালেম, ভেলোর, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, দাভানগেরে, তিরুচিরাপল্লি।

এ ১০ লাখের জনসংখ্যার কম এই শহরগুলোতে সেরা পৌরসভার তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে নয়াদিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল। এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে তিরুপতি, গান্ধীনগর, কারনাল, সালেম, তিরুপ্পুর, বিলাসপুর, উদয়পুর, ঝাঁসি, তিরুনেলভেলি।

এমএইচআর/এমএস

Categories
International

গরুর পেটে ৭১ কেজি প্লাস্টিক-জঞ্জাল

গরুর পেটে ৭১ কেজি প্লাস্টিক-জঞ্জাল

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে গর্ভবতী এক গরুর পেটে ৭১ কেজি প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। পশুচিকিৎসকরা এসব প্লাস্টিক বের করে আনলেও গরু ও তার বাচ্চাকে বাঁচাতে পারেননি।

হরিয়ানার ফরিদাবাদে গত ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় গরুটি। সেটিকে উদ্ধার করে পশুদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা। এরপর গরুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ওই সংস্থার সদস্যরা। অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২১ ফেব্রুয়ারি গরুটির অস্ত্রোপচার করতেই চমকে ওঠেন চিকিৎসক। প্রায় চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে গরুর পেট থেকে ৭১ কেজি প্লাস্টিক, পেরেক, কাঁচের টুকরা ও জঞ্জাল বের করা হয়। বাচ্চাটাকে বাঁচানোরও চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে অনেক জায়গায়। তারপরও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার কমেনি। যার ফলে সামুদ্রিকজীব থেকে রাস্তার পশুরাও এর শিকার হচ্ছে। প্রাণহানি ঘটছে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন পরিবেশবিদ এবং পশুবিদরাও।

প্লাস্টিক খেয়ে ভারতে প্রতিবছর কত গরু মারা যায়, তার সরকারি হিসাব না থাকলেও এক পশুকল্যাণ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শুধু উত্তর প্রদেশের লখনউতেই এক হাজার গরুর মৃত্যু হয় প্লাস্টিক খেয়ে।

সারা ভারতে যখন গো রক্ষা নিয়ে আওয়াজ তুলছে গেরুয়া শিবির এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো, গরুদের সুরক্ষা নিয়ে যখন মোদি সরকার বিভিন্ন প্রকল্প করছে, প্লাস্টিকের কারণে গরু মৃত্যুর ঘটনায় সুরক্ষাবিধি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার

Categories
International

ভারতে স্বর্ণের দাম কমল প্রায় ১০ হাজার

ভারতে স্বর্ণের দাম কমল প্রায় ১০ হাজার

ভারতের বাজারে হু হু করে কমছে স্বর্ণের দাম। ২০২০ সালের আগস্টে দেশটিতে প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম উঠেছিল ৫৬ হাজার রুপি পর্যন্ত। তবে মার্চে এসে এই দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার রুপিতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বর্ণের দাম কমার পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারের অবদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণে বিনিয়োগ কমতে শুরু করেছে। এর পেছনে কারণ, বন্ডের ক্ষেত্রে সুদের হার বেড়েছে। ফলে স্বর্ণ ছেড়ে বন্ড কেনাতেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা।

আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। এছাড়া স্বর্ণের দাম কমার অন্য কারণও রয়েছে।

এমনিতে গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির কবলে পড়ে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। সেই সময় স্বর্ণের দাম রাতারাতি বাড়তে শুরু করে। এতে বিপাকে পড়েন খুচরা বিক্রেতারা।

ওই সময় অনিশ্চয়তার কবল থেকে বাঁচতে স্বর্ণতে বিনিয়োগই নিরাপদ বলে মনে করছিল বিনিয়োগকারীরা। তারা স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছিলেন, যার ফলে লাফিয়ে বেড়েছিল দাম। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ শেষে বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করে, তখন আবার স্বর্ণের দিক থেকে নজর সরে যায়। অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিবহুল কিন্তু বেশি রিটার্ন মিলবে এমন বাজারের দিকে ঝোঁক বেশি বিনিয়োগকারীদের। ফলে সবমিলিয়ে নিম্নমুখী স্বর্ণের বাজার।

এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রতি ১০ গ্রামের হিসাবে স্বর্ণের দাম যেখানে ৪০ হাজারের আশপাশে ছিল, সেখানে মার্চ থেকে তা বাড়তে বাড়তে আগস্টে গিয়ে ৫৬ হাজার রুপিতে পৌঁছায়। এরপরই শুরু হয় দাম কমার প্রবণতা।

Categories
International

চারজনের সঙ্গে ‘প্রেম’, লটারিতে বর বাছাই!

চারজনের সঙ্গে ‘প্রেম’, লটারিতে বর বাছাই!

ভারতের উত্তরপ্রদেশের রামপুরে ঘটেছে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। যা চমকে দিয়েছে সকলকে। রামপুর নামক ওই এলাকার এক কিশোরী চারজন তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। আর তার কারণে এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটাল গ্রামের পঞ্চায়েত।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই কিশোরী চারজন তরুণের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়! ওই চার তরুণের মধ্যে একজনের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠে তারা। এরপর সেখানেই লুকিয়ে থাকে পাঁচজন। এদিকে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে চায় কিশোরীর বাবা। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে থানায় যেতে দেওয়া হয়নি ওই ব্যক্তিকে। এরপর শুরু হয় পাঁচজনের খোঁজ। পরে জানা যায় কোথায় আছে তারা।

নিউজ এইটিনের খবরে বলা হয়, জোর করে তাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই চার তরুণকে আলাদা-আলাদা করে প্রশ্ন করা হয়- কে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে! চারজন তরুণই বিয়েতে নারাজ হয়। কিশোরীকে প্রশ্ন করা হলেও সে কাউকেই বিয়ে করতে চায় না। তারা জানায়, যে শুধু মাত্র ভালো বন্ধু তারা। কেউ প্রেম করছে না। কিন্তু সে সব কথা পঞ্চায়েত শোনেনি। ঠিক করা হয় লটারি খেলা হবে। লাকি ড্রতে যে তরুণের নাম উঠবে, তার সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে কিশোরীর। সেই মতো চারজনের নাম লিখে একটি পাত্রে রাখা হয়। গ্রামের একটি বাচ্চাকে সেই পাত্র থেকে একটি কাগজ তুলতে বলা হয়। যে নামটি ওঠে, তার সঙ্গেই মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হবে ঠিক করা হয়।

তবে এই সব বিষয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে ওই কিশোরী। কিন্তু যেহেতু চারজন তরুণের সঙ্গে গিয়েছিল, কাউকে কিছু না জানিয়ে, তাই এটাই তাকে শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের রায় মেনে নিয়েছে কিশোরীর পরিবার। তাদের কথায় চারজনের সঙ্গে তো বিয়ে দেওয়া যাবে না, তাই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সকলে।
সূত্র : নিউজ এইটিন